প্রেস বিজ্ঞপ্তি: আশেকানে মোস্তফা (দ.) তরুণ পরিষদের ব্যবস্থাপনায় গত ২১ ও ২২ আগস্ট বৃহস্পতি ও শুক্রবার ১নং দক্ষিণ পাহাড়তলী লালিয়ারহাট মাদ্রাসা ও বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ইমামে রব্বানী শেখ আহমদ ফারুকী সেরহেন্দী ( রহ.), আলা হযরত ইমাম আহমদ রেযা (রহ.) এবং ইমামে রব্বানী সৈয়্যদ আবু নছর আবেদ শাহ আল মাদানী (রহ.) এই তিনজন মহান অলিয়ে কামেলের উরসে পাক উপলক্ষে ২ দিন ব্যাপী মহান সুন্নি সম্মেলন ফকিহে বাঙ্গাল, পীরে তরিকত্ব আল্লামা মুফতি কাযী মুহাম্মদ শাহেদুর রহমান হাশেমী (মা.জি.আ.) র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
এতে ১ম দিবসে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হামিদিয়া হোসাইনিয়া রাজ্জাকিয়া দাখিল মাদ্রাসার সম্মানিত সুপার মাওলানা মোহাম্মদ শামসুল আলম সিদ্দিকী।
আলোচক ছিলেন জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক আল্লামা হাফেজ মুহাম্মদ আনিসুজ্জামান আল কাদেরী, পাথরঘাটা সোবহানিয়া আলীয়া কামিল মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক হযরত আল্লামা মুহাম্মদ নুরুল আবছার আল কাদেরী।
সমাপনী দিবসে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লালিয়ারহাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সম্মানিত খতিব হযরতুলহাজ্ব মাওলানা ছৈয়দ মাহমুদ রেযা। সম্মানিত আলোচক ছিলেন গহিরা এফ কে জামেউল উলুম বহুমুখী কামিল এম. এ মাদ্রাসার সাবেক শাইখুল হাদিস হযরতুলহাজ্ব আল্লামা মুফতি মুহাম্মদ ইব্রাহিম আল কাদেরী, জামেয়া আহমাদিয়া সুন্নিয়া দায়েম নাজির জামে মসজিদের সম্মানিত খতিব আল্লামা আবুল আসাদ মুহাম্মদ জুবাইর রেজভী, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসার মুহাদ্দিছ মাওলানা বোরহান উদ্দিন নেজামী, হযরত খোশাল শাহ (রহ.) মাদ্রাসার সুপার হযরত মাওলানা ক্বারী হাসান উদ্দিন কাদেরী রেজভী। উক্ত মাহফিলে সঞ্চালনায় ছিলেন গাউছিয়া শাহ আমিন হাশেমী মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মুখতার আহমদ কাদেরী রেজভী।
সভাপতির বক্তব্যে আল্লামা মুফতি কাযী মুহাম্মদ শাহেদুর রহমান হাশেমী (মা.জি.আ.) বলেন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সর্বোচ্চ ও প্রধান মূলনীতি কুরআন ও সুন্নাহ্ধসঢ়;র নিকট পরিপূর্ণ আত্মসমর্পন এবং কুরআন কারীম ও সহীহ হাদীসকে আকীদার একমাত্র মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা। যে কোনো বিষয়ে কুরআন কারীম ও সহীহ হাদীসের সকল নির্দেশনা সমানভাবে গ্রহণ ও বিশ্বাস করা। সাহাবীগণ ও তাঁদের অনুসারী তাবিয়ী-তাবি-তাবিয়ীগণকে এ বিষয়ে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করা। আমরা যাদের মাধ্যমে ইসলাম পেয়েছি বর্তমানে সেসব অলি আউলিয়াদের মাজার শরীফে হামলা হচ্ছে। তাই আমাদের চুপ থেকে বসে থাকার সময় নেই। আমাদের সবাইকে একতাবদ্ধ হয়ে উক্ত মাজার শরীফ রক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসতে হবে। পরিশেষে মিলাদ, কিয়াম শেষে তাবরুক বিতরণের মাধ্যমে দেশ ও জাতির কল্যাণে মুনাজাত করা হয়।




